দীর্ঘ ৩৮ বছর পর পিরোজপুর-২ আসনের (ভান্ডারিয়া, কাউখালি, নেছারাবাদ) পটপরিবর্তন ঘটেছে। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করায় ৩৮ বছর জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। কিন্তু এবার সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ।
পিরোজপুর-২ আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি (জেপির) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। টানা ১৪ বছর মন্ত্রী ছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তার সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় প্রায় চার দশক ধরে ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে কয়েক বছর ধরে তাকে শক্ত চ্যালেঞ্চের মুখে ফেলেছেন তারই সাবেক পিএস মহিউদ্দিন মহারাজ।
বেসরকারি ফলে দেখা গেছে- তিন উপজেলা মিলিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৯ হাজার ২৬৮ ভোট আর নৌকা নিয়ে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬৮১ ভোট।
তিন উপজেলার মধ্যে ভান্ডারিয়াতে নৌকা পেয়েছে ২৬ হাজার ৬১ ভোট। আর মহিউদ্দিন মহারাজের ঈগল পেয়েছে ৪০ হাজার ৬০৭ ভোট। এই উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৬৪ ভোট বেশি পান মহারাজ। এই উপজেলার ৩নং তেলিখালী ইউনিয়নের ভোটাররা একজোট হয়ে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
তেলিখালি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রাপ্ত ফলে দেখা গেছে, ঈগল প্রতীকে মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪ ভোট। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৪৯ ভোট।
কাউখালী উপজেলায় ঈগল পেয়েছে ১৩ হাজার ২৭০ ভোট। অন্যদিকে নৌকা পেয়েছে ৯ হাজার ৮৭৪ ভোট।
জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় ঈগল প্রতীক নিয়ে মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৪৭ ভোট। আর নৌকা পেয়েছে ৩৪ হাজার ৩৯৮ ভোট। এখানে নৌকার থেকে ঈগল বেশি পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৪৯ ভোট।