ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খতিবদের সম্মানজনক ভাতার দাবি সংসদে উত্থাপন করেছেন পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ। মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদে একাত্তর বিধির ওপর বক্তব্যকালে এই দাবি উত্থাপন করেন তিনি।
বক্তব্যকালে মহারাজ বলেন, ‘আমিসহ দেশের প্রত্যেক মুসলমানের পবিত্র স্থান মসজিদ। এই মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খতিব অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধার পাত্র। দেশের তিন লক্ষাধিক মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খতিব সম্মানজনক এই পেশায় রয়েছেন। কিন্তু সরকারিভাবে তাদের কোনও নির্দিষ্ট বেতন কিংবা সম্মানী না থাকায় স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত সামান্য সম্মানী ও সুযোগ নিয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এতে তারা প্রতিনিয়ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও তাদের জন্য সরকারিভাবে বেতন কিংবা সম্মানীর ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়ভাবে প্রদানকৃত সম্মানীর পরিমাণও সামান্য। বেশিরভাগ মসজিদ পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় পরিচালনা কমিটির খেয়াল-খুশি মতো পরিচালিত হচ্ছে। বেশিরভাগ কমিটি মসজিদের অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য যতটা গুরুত্ব দেয়, ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খতিবদের ভাতা প্রদানের ব্যাপারে ততটাই উদাসীন তারা। এমন বাস্তবতায় দেশের সব মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খতিবদের সম্মানজনক সম্মানী ভাতা দেওয়ার জন্য ধর্মমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাই।’
সংসদে এমন দাবি উত্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারের সময় ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খতিবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছিলাম। তখন তারা আমার কাছে এই দাবি জানিয়েছিলেন। তখন তাদের বলেছিলাম, সংসদে যেদিন প্রথম বক্তব্য রাখবো, সেদিন ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খতিবদের সম্মানী ভাতার অনুরোধ জানাবো। আজকের বক্তব্য তাদের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ।’
পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন মহারাজের বাড়ি ভান্ডারিয়ার তেলিখালী ইউনিয়নের হরিণপালা গ্রামে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক।